আশ্বিনের নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আকাশে-বাতাশে শুধুই পুজোর গন্ধ। মায়ের আগমনী বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে শিউলি ফুলের গন্ধ। শুধু বঙ্গে নয় গোটা পৃথিবীতেই মা দুর্গা পূজিত হোন। দেবী দুর্গার অনেক রূপ। সেই রূপ নিয়ে কখনও অম্বিকা বা কখনও বাসন্তী রূপে পুজিত হোন। তবে দেবী দুর্গার দশ হাতে এই শারদোৎসবেই মর্ত্যে আসেন। মহালয়ার সময় শেষ মুহুর্তে দেবীর অশুর বধের জন্য দশটি হাতে দশ অস্ত্র দিয়েছিলেন দেবপুরুষগন। সেই দশ অস্ত্রের মানে:-
- ত্রিশূল- দেবী দুর্গার হাতে ত্রিশূল দিয়েছিলেন বাবা মহাদেব। ত্রিশূল মানে তিনটি ফলা। যার অর্থ হল- গুণ, তমঃ, রজঃ।
- গদা- গদা ভালোবাসা, ভক্তি ও আনুগত্যকে ব্যাখা করে। দেবী দুর্গাকে গদা দিয়েছিলেন যমরাজ।
- বজ্রাস্ত্র- অশুর নিধনের সময় দেবরাজ ইন্দ্র মায়ের হাতে বজ্রাস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন দৃঢ়তা ও সংহতির জন্য।
- সাপ- নাগরাজ এই সাপ দেবী দূর্গাকে দিয়েছিলেন। চেতনার বিকাশ ঘটাতেই এই সাপ তুলে দেওয়া হয়েছিল দেবীর হাতে।
- অগ্নি- অগ্নি বা আগুন হল জ্ঞানের প্রতীক। অগ্নিদেব মা দুর্গাকে এই অস্ত্র দিয়েছিলেন।
- শঙ্খ- শঙ্খ একটি বাদ্যযন্ত্র হলেও শঙ্খ আসলে জীবজগতে প্রাণের সঞ্চার করে। বরুন দেব শঙ্খ দিয়েছিলেন দেবী দুর্গাকে।
- চক্র- মহালয়ায় অশুরের সঙ্গে লড়াই করার সময় বিষ্ণুদেব চক্র তুলে দিয়েছিলেন। এই চক্রের মানে হল সমস্ত সৃষ্টি ও জগতের কেন্দ্রে অধিষ্ঠান রয়েছেন দেবী দুর্গা।
- তীর-ধনুক- তীর-ধনুক হল ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। বায়ুদেব তিরধনুক দিয়েছিলেন।
- পদ্ম- দেবী দুর্গার দশ হাতের মধ্যে একটিতে থাকে পদ্ম। অষ্টমীর দিন একশো আটটা পদ্ম ছাড়া মায়ের পুজো অসম্ভব। আসলে পদ্মফুল অন্ধকারের মধ্যেও আলোর আবির্ভাব হয় সেই বার্তা দেয়।
- তলোয়ার- তলোয়ার দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদকে ভুলে এক হওয়া যায়। এই তলোয়ার বুদ্ধির প্রতীক।
জয় মা দুর্গা!
জয় মা দুর্গা। জয় দুর্গতিনাশিনী।
সত্যিই আজকাল ভোর বেলায় আর সন্ধ্যাবেলায় বেশ একটা পুজো-পুজো গন্ধ পাওয়া যায়। 😁
তুই আসছিস তো সময় হাতে নিয়ে?
LikeLiked by 1 person
হ্যাঁ, আমিও তাই ভাবছি… জয় মা দুর্গা!
LikeLike